নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: করোনার ‘রেড জোন’ চকরিয়ায় কঠোর লকডাউন কার্যকর হচ্ছে আজ মঙ্গলবার থেকে। উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা প্রশাসনকে সহায়তা দেয়ায় পুরোদমে লকডাউনের দৃশ্য পরিলক্ষিত হচ্ছে পৌরশহর চিরিঙ্গায়। সেনাবাহিনীও হ্যান্ডমাইক নিয়ে সড়কে সড়কে টহল ব্যবস্থা জোরদার করেছে। পুলিশ ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে লকডাউন কার্যকরে।
রেড জোন চকরিয়া পৌরসভা ও উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডে গত ৭ জুন প্রথম প্রহর থেকে উপজেলা প্রশাসন কঠোর লকডাউন ঘোষণা করলেও তা ছিল অনেকটাই অকার্যকর। পৌরশহরের বাণিজ্য কেন্দ্র চিরিঙ্গার অন্তত ২০টি বিপনি বিতান বন্ধ থাকলেও এতদিন বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মানুষের জনস্রোত রোধ করা কষ্টসাধ্য ছিল প্রশাসনের পক্ষে। রোধ করা যায়নি বিভিন্ন যানবাহন চলাচলও।
সরেজমিন দেখা গেছে, বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে চকরিয়া পৌরশহর চিরিঙ্গায় প্রবেশের অন্তত ১০টি পয়েন্টে বাঁশ বা গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়কে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। আবার সেখানে স্বেচ্ছাসেবকদের টিম পয়েন্টে পয়েন্টে অবস্থান করে মুখে মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অবস্থান করতে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। লকডাউন কার্যকর করতে উপজেলা প্রশাসনকে সহায়তা দিচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বাধীন মঞ্চ, শুভ সংঘ, পিস ফাইন্ডার, ফুটন্ত কিশোর ক্লাব, আছিয়া-কাশেম ট্রাস্ট, ইয়াং চেঞ্জ মেকার্স, ডিএণ্ডজি ক্লাব, কোনাখালী ছাত্র-সমাজকল্যাণ পরিষদ। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক আকিত হোসেনের নেতৃত্বে উপজেলা ছাত্রলীগ ও সোহেল রানা পারভেজের নেতৃত্বে পৌরসভা ছাত্রলীগ লকডাউন কার্যকরে প্রশাসনকে সহায়তা দিচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, চকরিয়া পৌরশহর চিরিঙ্গায় সরাসরি প্রবেশ করা যায়, এমন ১০টি পয়েন্ট শণাক্ত করে সেখানে কঠোর লকডাউন করা হয়। এরমধ্যে বাটাখালী মাতামুহুরী সেতুর পূর্বাংশ, চিরিঙ্গা মাতামুহুরী সেতুর পশ্চিমাংশ, বেতুয়াবাজার সেতুর পূর্বাংশ, থানা রাস্তার মাথা, ভাঙারমুখ, তরছঘাট স্টেশন, মগবাজার স্টেশন, থানাসংলগ্ন এলাকা, স্বপ্নপূরী পয়েন্ট উল্লেখযোগ্য।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামশুল তাবরীজ চকরিয়া নিউজকে বলেন, ‘ রেড জোন চকরিয়া পৌরসভায় শতভাগ লকডাউন কার্যকর করা বেশ দুরূহ ব্যাপার। কারণ পৌরশহরটি পাঁচ উপজেলার মোহনা হওয়ায় চারিদিক থেকে মানুষের স্রোত নামে। তাই স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তা নিয়ে কঠোর লকডাউন কার্যকর করা হচ্ছে।’
ইউএনও বলেন, ‘রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে স্বেচ্ছাসেবকরা উপজেলা প্রশাসন ও আইন-শৃক্সখলা বাহিনীকে সহায়তা করছে। তাই সর্বসাধারণের উচিত হবে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহায়তা করা।
পাঠকের মতামত: